ताज़ा ख़बरें

শুধু বাংলাদেশ নয় মহিলাদের কে শুনতে হচ্ছে কটুক্তি। ঘটনাটি তমলুকের।

আমাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করলে এবার আইন হাতে তুলে নেব জানালেন পৃথা অধিকারী।

দিব্যেন্দু মোহন গোস্বামী
পশ্চিমবঙ্গ

গতকাল যে পোস্ট আমি করেছিলাম তারই পরিপ্রেক্ষিতে একজন ভদ্রলোকের মনে হয়েছে যে আমার লেখা ভদ্রভাবে লেখা হয়নি। তাই তিনি প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের রয়েছে। তিনি আমার লেখা সম্বন্ধে সমালোচনা করেছেন খুব সুন্দর। কিন্তু ওই যে বললাম একটাই কথা। আপনার পরিচয় আপনার ব্যবহারে আমি তো আপনাকে কোন প্রকার গালাগাল দিনি। তাহলে কেনই বা আপনি আমাকে গালাগাল দিয়ে কথা বলছেন এটা আপনার কাছ থেকে আশা করা যায় না। অবশ্যই সমালোচনা করবেন। ১০০ বার সমালোচনা করবেন কিন্তু কোন গালাগাল ছাড়া। আমাকে আপনি গালাগাল করতে পারেন কিন্তু যারা গ্রুপের মধ্যে রয়েছে তাদের কাছে আপনার যে ভাবমূর্তি সেটাকে তাদের কাছে পোস্ট করেন না। কারণ আমি মনে করি আমি যেগুলো পোস্ট করি সেইটা গালাগালির মুখ্য চরিত্র অবলম্বন করবে না। যাই হোক। এই ঘটনা আপনি যা শুনে হয়তো দুঃখ পাবেন রমজান মাসে ইফতারি তে দুটি লেবু একজনের পাতে থেকে নেওয়ায় এক যুবক নষ্ট হয়ে যাবার কারণে সে ওই দুটি লেবু খেয়ে ফেলেছিল। কিন্তু যখন সে খেয়ে ফেলেছিল তখন ভাবতেও পারিনি তার কি নিষ্ঠুর পরিণত হতে চলেছে। যখনই ওই ইফতার পার্টিতে ধর্মগুরুরা বসে আছেন তারা খবর পাওয়ার পরপরই অন্যান্য তাদেরই সম্প্রদায়ের মানুষ কে বলে ওই ব্যক্তি অনৈতিক কাজ করেছে। তাকে নিয়ে আসতে হবে। ধর্ম গুরুর কথা মতো যিনি দুটো কমলা লেবু খেয়ে ফেলেছিলেন তাকে নিয়ে আসা হয়। তারপর তাকে চাবুক দিয়ে মারধর করা হয়। এটা কোন ধরনের বিচার বা এটা কোন ধরনের নিয়ম যে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজেই খেয়ে ফেলেছিলেন ওই কমলা লেবু। দুটিকে যারা কালকে আমাকে সৎ বুদ্ধি দিতে এসেছিলেন তারা কি বলবেন এই ঘটনা মিথ্যা এই ঘটনা প্রকাশ করা যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে কঠোরভাবে নিন্দা করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এ তো গেল বাংলাদেশের কথা আমাদের দেশের পশ্চিমবঙ্গ তেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এখানে চলছে লাভ জিহাদ অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের মহিলাদেরকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে এসে তাদেরকে মুসলিম করার প্রক্রিয়া এতেই অনেকে ভুল বা ফেলছে সেটা তখন তার ভালো লাগছে ঠিক কোথায় কিন্তু পরবর্তীকালে তার আফসোসের কোন জায়গা থাকবে না বলে মনে করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন আমি একটি ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি প্রতিদিন তমলুক শহরে একটি চায়ের দোকানে কমসেকম বেশ কিছু মানুষ ওখানে বসে আসা-যাওয়া করা মহিলাদের কটুক্তি করতে থাকে। ঘটনাটি বেশি দূরের নয় মেদিনীপুরের তমলুক শহরে। এর প্রতিবাদ কেউই করেনা। প্রতিরোধ গড়ে তোলারও কেউ চেষ্টা করে না। পুলিশকেও কেউ জানায় না। পুলিশ ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনা। যাইহোক এরকম ঘটনা যখন হোলির দিনে প্রায় পঞ্চাশেরও অধিক বাইক ওখানে দাঁড় করানো হয় এবং প্রচুর অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে হাজির হয়। তারা ওই মহিলাদেরকে কটুক্তি করে তারই পরিপ্রেক্ষিতে মহিলারা ঠিক করেছে কাল থেকে অর্থাৎ আজ থেকে যারা ওখানে বসে বসে কটুক্তি করবে। তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এর ব্যবস্থা গ্রহণ অতি অবশ্যই করবেন। এমনই অভিযোগ করেছেন পৃথা অধিকারী।

Show More
Back to top button
error: Content is protected !!